ঝিকরগাছা সংবাদদাতা (যশোর)।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নকে আরো একধাপ এগিয়ে দিতে, গ্রামীণ জণগণের দোরগোড়ায় তথ্যসেবা পোঁছানোর লক্ষ্যে। উপজেলা পর্যায়ে তথ্য ওযোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও এশিয়া ডেভোলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে (এডিবি) সাসেক ইনফরমেশন হাইওয়েপ্রকল্প সারা বাংলাদেশে ৩০ টি উপজেলায় ২৮.৬১ কোটি টাকা অর্থ ব্যায়ে স্থাপন করেছে অত্যাধুনিক তথ্য ও সেবা কেন্দ্র। উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট, ৬ সেটকম্পিউটার, ফটোকপিয়ার, প্রজেক্টর, ট্রেনিং রুম সহ সকল প্রকার আইটি সরঞ্জম দিয়ে সুসজ্জিত করেছে সকল তথ্য ও সেবা কেন্দ্র গুলো। প্রতিটি তথ্য ও সেবাকেন্দ্র পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দুজন করে উদ্দোক্তা। সাসেক ইনফরমেশন হাইওয়ে প্রকল্পের তথ্য ও সেবা কেন্দ্র গুলো স্থাপনের উদ্দেশ্য,সাসেক দেশ সমুহ (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটান) গ্রামীণ জনপদকে শক্তিশালী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত সুযোগ সৃষ্টি ও তাঁর ব্যবহার বৃদ্ধিকরা। এবং দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। সাসেক হাইওয়ে প্রকল্পটির মেয়াদকাল ছিল জুলাই ২০১০ হতে জুন ২০১৪ পর্যন্ত। বাংলাদেশে সকলউপজেলায় তথ্য ও সেবা কেন্দ্রগুলো স্থাপন করা হয়েছে প্রকল্পের প্রায় শেষে এপ্রিল ২০১৪’তে। বর্তমানে প্রতিটি উপজেলার তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের অধিকাংশযন্ত্রপতির কোননা কোন সমস্যা আছে। বিশেষ করে ফটোকপিয়ার আর সোলার প্যানেল। যদিও ১ বছরের বিক্রয়য়োত্ত সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল বর্তমানেসাসেক ইনফরমেশন হাইওয়ে প্রকল্পটির মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ায় ঠিকাদার (হামিদা ট্রেডার্স) সময়মত সেবা প্রদান করছে না। প্রকল্পের শুরুতে প্রতিউদোক্তাকে আইটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও আজও পর্যন্ত কোন প্রকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় বর্তমানে প্রায় সকল উপজেলার তথ্যও সেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধ প্রায়। এবিষয়ে উদ্দোক্তাদের মতামত, সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কোন নজরদারি নেই, যন্ত্রপাতির ত্রুটি, প্রশিক্ষণের অভাব, প্রচারের অভাব,প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ব্যয়, অনিশ্চয়তা ইত্যাদি কারনে প্রতিষ্ঠান যথাযথ পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। উদ্দোক্তারা আরো জানান, বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তিবিভাগ এর অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর তত্ত্বাবধানে “ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ফেজ-২ (a2i) প্রকল্পেরআওতায় সারা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ও পৌরসভায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে ইউনিয়ন ও পৌর ডিজিটাল সেন্টার। সেখানেও উন্নত আইটি সরঞ্জম দেওয়া হচ্ছেতাঁর চেয়ে বড়কথা, সরকার ও প্রকল্পটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার্থে প্রতিনিয়ত সামাজিক মাধ্যমে সরকার ও প্রকল্প প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে। যা টেলিভিশন, পত্রিকা,বর্তমানে ফেসবুক সহ সকল সামাজিক যোগাযোগে এ সকল বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে। প্রকল্পটি উদ্দোক্তদের আয় বৃদ্ধির জন্য হাতে নিচ্ছে বিভিন্ন সরকারি কাজ।যার ফলে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলা তথ্য ও সেবা গুলো। এ সমস্যা থেকে উত্তোরনের পথ হিসেবে ও উপজেলা তথ্য সেবা গুলো টিকিয়ে রাখতে যা করনীয় তাবিবেচনা করা যেতে পারে, যেহেতু সাসেক প্রকল্পের মেয়াদকাল শেষ এ ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ এর অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এরতত্ত্বাবধানে “ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ফেজ-২ (a2i) প্রকল্পের আওতায় করে নেওয়া বা অন্য কোন প্রকল্পের আওতাভূক্ত করা। উদ্দোক্তাদের প্রশিক্ষণ সুনিশ্চিত করা, প্রচার প্রচারনা করা, যন্ত্রপাতি ত্রুতিমুক্ত করা ও উদ্দ্যোক্তাদের সরকারি বিভিন্ন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেদেওয়া। তবেই টিকে থাকবে উপজেলা তথ্য ও সেবা কেন্দ্র সুনিশ্চিত হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন।
মোঃ ইলিয়াস আহম্মেদ
ঝিকরগাছা, যশোর।
মোবাঃ ০১৯২৩-৮৬২২৫১
Email: eleasjsr@yahoo.com
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস